মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০১৫

নাসির, আমাদের ক্ষমা করুন

নাসির, আমাদের ক্ষমা করুন

≠ নাসির, আমাদের ক্ষমা করুন ≠
০১/০৭/২০১৫
কয়রার সংবাদ : ব্যাপারটা অভাবনীয়ই ছিল নাসির হোসেনের জন্য। তিনি কখনোই ভাবেননি যে একটি ফেসবুক পোস্টে এ দেশের কিছু মানুষের রুচিবোধের এমন কদাকার রূপ তাঁকে দেখতে হবে। দেশের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার কিছু মানুষের এমন রূপের পরিচয় পেয়ে হতভম্ব, ব্যথিত।
ঘটনাটা ভারতের বিপে ওয়ানডে সিরিজ শেষ হওয়ার পরদিন। দণি আফ্রিকা সিরিজ আসন্ন। অনুশীলন শুরু হওয়ার আগে হাতে কিছু সময় পেয়েছিলেন। সেই সময়টা নষ্ট না করে রংপুওে দেশের বাড়িতে একটু ঘুরে আসতে চাইলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল তাঁর বোন। ছুটির আমেজে বিমানে উঠে বোনের সঙ্গে তুললেন একটা সেলফি। 


একে তো ভারতের বিপে দুর্দান্ত এক সিরিজ জয়ের আনন্দ, তার ওপর ছুটি। নিজের আনন্দ ভাগ করে নিতে চাইলেন ভক্তকুলের সঙ্গে। ফেসবুকে নিজের ফ্যানপেজে তুলে দিলেন সেই ছবি। এসব েেত্র যা হয় আর কি, হু হু করে পড়তে লাগল ‘লাইক’। ভক্তরা করতে লাগলেন বিভিন্ন মন্তব্য। বেশির ভাগ মন্তব্যই ছিল সাধারণ। দুই ভাইবোনকে অভিনন্দন জানিয়ে করা। কিন্তু নাসির অবাক হয়ে ল করলেন কিছু মন্তব্য ছাড়িয়ে গেল সভ্যতার সীমা, রুচির গন্ডি। মন্তব্যগুলো এতটাই কুরুচিপূর্ণ যে লজ্জায় দুঃখে ােভে নাসির নিজের পোস্টটাই সরিয়ে নেন ফেসবুক থেকে। এরপর আরও একটি পোস্টে নিজের ােভ প্রকাশ করে জানিয়ে দেন, ‘অনেক হয়েছে, আমাকে আর অনুসরণ করার দরকার নেই।’
এ ঘটনায় নাসির এতটাই বিরক্ত যে ফেসবুকের প্রতিই তাঁর সব ভক্তি উঠে গেছে। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমার ভাই ফেসবুকের দরকার নেই। ফেসবুক মানেই অশান্তি। আমি আমার ফেসবুক পেজটাই বন্ধ
কওে দেব। এমন একটি ঘটনা ঘটে গেল যে ভক্তদের সামনে নিজেকে উন্মুক্ত করার শখটাই মিটে গেছে।’
নাসিরের এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি তাঁর ফেসবুকের ফ্যানপেজটা বন্ধ করে দিয়েছেন। জাতীয় দলের সতীর্থের এই অবমাননায় ুব্ধ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যরাও।


নাসির এখন কী করবেন? তাঁর সেই পোস্টে যারা অবমাননাকর ও কুরুচিকর মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছিল, তাদের কি তিনি আইনের আওতায় আনবেন? সাইবার-অপরাধ আইনের আওতায় তিনি কি কোনো মামলা করবেন? নাসির অবশ্য এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। জানিয়েছেন, খুব কাছের কিছু মানুষের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেই তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সেদিন যে পরিমাণ বাজে মন্তব্য আমি পেয়েছি, তাতে কয়জনের বিরুদ্ধেই বা ব্যবস্থা নেওয়া যায়! আমি তাদের জন্য কেবল দোয়াই করতে পারি। আল্লাহ তাদেও হেদায়েত করুন।’
দীর্ঘ দিন ধওে ফেসবুকের ফ্যানপেজ থাকলেও এবারের অভিজ্ঞতাটা তাঁকে সাংঘাতিক আহত করেছে বলেই জানিয়েছেন নাসির, ফেসবুকের ফ্যানপেজটা অনেক দিন ধরেই আছে। বেশির ভাগ মানুষই কিন্তু ভালো। খুব সুন্দর সুন্দর মন্তব্য তাঁরা করেন। তাঁদের মন্তব্যগুলো আমাকে ভালো খেলতে উৎসাহিত করে। বাজে মন্তব্য আগে যে পাইনি, তা নয়। কিন্তু তার পরিমাণ ভালোর তুলনায় কমই। গুটি কয়েক মানুষই সমস্যা। তবে সম্প্রতি যা হলো তা আমার জন্য খুব বাজে অভিজ্ঞতা।’
নাসিরের বাজে অভিজ্ঞতা আমাদেরও বাজে অভিজ্ঞতা। এ দেশের ক্রিকেট অঙ্গনেরও বাজে অভিজ্ঞতা। এই বাজে অভিজ্ঞতা সামনে নিয়ে এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কদর্য চিত্রটা। লজ্জায় হেঁট করে দিয়েছে আমাদের সবার মাথা।
সূত্র-প্রথম আলো অনলাইন থেকে নেওয়া।

►পাইকগাছায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ছিনতাই◄


►পাইকগাছায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ছিনতাই◄

পাইকগাছায় প্রকাশ্য দিবালোকে দুর্ধর্ষ এক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে পৌর সদরের সরল এলাকায় এক ব্যাংক কর্মকর্তার বসতবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। ২ ছিনতাইকারী ব্যাংক কর্মকর্তার বৃদ্ধা মাকে বেঁধে রেখে কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 



থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সরল এলাকায় কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা জি,এম, শাহজামানের বসত বাড়ী রয়েছে। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ব্যাংকে এবং পরিবার খুলনায় অবস্থান করছিলেন। একমাত্র বৃদ্ধা মা রহিমা বেগম বাড়ীতে অবস্থান করায় দুর্বৃত্ত এ সুযোগে পানি খাওয়ার অজুহাতে বাড়ীতে প্রবেশ করে বৃদ্ধাকে মুখে কাপড় পেচিয়ে একটি কক্ষে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে ঘরের ভিতর থাকা আলমারী ও বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে তল্লাশী চালায়।

এ সময় দুর্বৃত্তরা আলমারীর মধ্যে কোন কিছু না পেয়ে বৃদ্ধার কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে দুপুর ১২ টার দিকে ব্যাংক কর্মকর্তার ভাইপো তৌহিদুজ্জামান বাড়ীতে এসে বৃদ্ধাকে বেঁধে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে থানার ওসি আশরাফ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

A post by Voice of Paikgacha.

শুভ জন্মদিন চেয়ারম্যান এ্যাড. স ম বাবার আলী

শুভ জন্মদিন চেয়ারম্যান এ্যাড. স ম বাবার আলী ! smile emoticon


আজ পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স ম বাবার আলী‘র ৬৬ তম জন্মদিনে '
পাইকগাছা, খুলনা, বাংলাদেশ'র পক্ষ থেকে ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ আর অভিনন্দন ! (জন্ম :: ১৯৪৯ সালের ৩০ জুন)
শুভ হোক আপনার এবং আপনার হাত ধরে পাইকগাছার ! smile emoticon

--এই কামনায় 

Paikgacha, Khulna, Bangladesh

❄কয়রায় জামায়াতের আমীরের স্ত্রীসহ ১৫০ নারীর বিরুদ্ধে মামলা❄

❄কয়রায় জামায়াতের আমীরের স্ত্রীসহ ১৫০ নারীর বিরুদ্ধে মামলা❄
৩০/০৬/২০১৫❄

কয়রায় বোমাসহ ২৪ গৃহবধূ ‌কে গ্রেপ্তারের ঘটনায় খুলনা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর ও কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান আ খ ম তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহিদা খাতুনসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

কয়রা থানার এসআই আলাউদ্দিন বাদি হয়ে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪,৫ ও ৬ ধারায় এ মামলা করেন। এজহারভুক্ত অপর আসামিরা হলো, ফাতেমা বেগম, তানজিলা, সাকিলা, আছিয়া, আসমা বানু, শাহিনা পারভীন, মমতাজ পারভীন, হালিমা পারভীন, আসুরা বেগম, মরিয়ম বেগম, তহুরা খাতুন, জহুরা খাতুন, তাসলিমা বেগম, তাসলিমা বেগম-২, মোমেনা খাতুন, কোহিনুর বেগম, খালেদা বেগম, আনোয়ারা বেগম-১, আনোয়ারা বেগম-২, নাজমা বেগম, ইসমত আরা, ফরিদা বেগম, লাইলী বেগম, জাকিয়া বেগম, তাসলিমা খাতুন, খাদিজা ও নূরুন নাহার। এ ছাড়া ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন এসআই প্রবীণ।
আসামিদের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়রা আদালতে বিচারক না থাকায় আসামিদের জামিনের শুনানি হয়নি। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে খুলনা কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার দুপুরে কয়রা উপজেলা সদরের গোবরা গ্রামের মাওলানা আবদুর হাই এর বাড়ি থেকে গৃহবধূসহ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, জামায়াতের নারীকর্মীরা ওই বাড়িতে গোপনে বৈঠকে বসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাড়িটি ঘেরাও করে ২৮ জনকে আটক করা হয়। ২৮ জনের মধ্যে ৪ জনের বয়স কম হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। এবং ঘটনাস্থল থেকে ৩টি বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় এসআই আলাউদ্দিন বাদি হয়ে খুলনা দক্ষিণ জেলা আমীর ও কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান আ খ ম তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহিদা খাতুনসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছে। এ মামলায় আটককৃত ২৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এজাহারনামীয় চারজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

A post by ॥Welcome to Paikgacha॥
▣ ৬ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাইকগাছা সিনিয়র মাদরাসার....

►আলোচিত অধ্যক্ষ আজহার আলীকে শোকজ’এর সিদ্ধান্ত◄

পাইকগাছা সিনিয়র মাদরাসার আলোচিত দূর্নীতি পরায়ণ অধ্যক্ষ আজহার আলীকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ম্যানেজিং কমিটি। শুক্রবার পরিচালনা পর্ষদের এক জরুরী সভায় প্রায় ৬ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় অধ্যক্ষকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
উল্লেখ্য, পাইকগাছা সিনিয়র মাদরাসার আলোচিত অধ্যক্ষ আজহার আলী ইতোপূর্বে চেক জালিয়াতির মামলায় জেল খাটেন এবং সাময়িক বরখাস্ত হন। পরবর্তীতে তিনি আবারো যোগদানের মাধ্যমে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি মাদরাসার আয়-ব্যয়ের সুষ্ঠু নিরীক্ষার জন্য উপজেলা সমবায় অফিসার এফএম সেলিম আখতারকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট অডিট কমিটি গঠণ করেন।
কমিটির নেতৃবৃন্দ গত ২৫ মে চূড়ান্ত অডিট প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে মাদরাসার অধিনস্থ খাল ইজারার অর্থ, বিদ্যুৎ বিল ও টিউশন ফি বাবদ ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৭ টাকা আত্মসাত করেছেন মর্মে অডিটে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও পরবর্তীতে খাল ইজারা বাদ ৯৩ হাজার, ২৩ জন শিক্ষক নিয়োগের ব্যাংক ড্রাফট বাবদ ১১ হাজার ৫শ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ সব নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ম্যানেজিং কমিটি শুক্রবার এক জরুরী সভার আহবান করে। সভায় সকল সদস্যের উপস্থিতিতে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় অধ্যক্ষ আজহার আলীকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় বলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান জানান।


--মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা।